রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: দক্ষিন এশিয়ার বৃহক্তম কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদে নির্ধারিত সময়ের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ আহরণ শুরু হওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। জেলে, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন । ব্যবসায়ীরা জানায়, আহরণের শুরুর দিকে হ্রদে পানি স্বল্পতার কারণে জেলেদের জালে মাত্রাতিরিক্ত ছোট মাছ ধরা পড়ছে।
এদিকে (১৮ আগস্ট) বৃহস্পতিবার আহরণের প্রথম দিনেই বিএফডিসির চারটি কেন্দ্রে কাপ্তাই হ্রদ হতে আনুমানিক ১ শ ৬০ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অবতরণ করা হয়েছে। বিএফডিসির হিসাবে, অবতরণকৃত মাছ হতে ৩৫ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের কথা। তবে রাত সাড়ে আটটায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাছ অবতরণ চলছে। রাত দশটা পর্যন্ত অবতরণ করা লাগলে বলে জানিয়েছে বিএফডিসি।
সরেজমিন বিএফডিসি অবতরণ ঘাটে গিয়ে দেখা গিয়েছে, সকাল থেকেই ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ নিয়ে আসছেন জেলেরা। এসময় ব্যবসায়ীরা জেলেদের থেকে বিএফডিসির পল্টুনে মাছগুলো সংগ্রহ করছেন। পরে পরিমাপ করে সরকারি রাজস্ব দিয়ে বাজারজাতকরণের উদ্দেশে পরিবহন করছেন। ট্রাক ও বিভিন্ন পণ্যবাহী পরিবহনে করে এসব চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্নস্থানে।
মৎস্য ব্যবসায়ীর সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া জানান, জেলেদের সংগ্রহ করা মাছগুলো যাবতীয় কাজ শেষে ঢাকায় পাঠিয়েছি। মাছ বিক্রি হলে বুঝা যাবে ব্যবসায়িক পরিস্থিতি কেমন। তবে মাছের আকার অনেক ছোট বলছেন এই ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি বিপণনকেন্দ্রের বাজারজাতকরণ কর্মকর্তা মো. শোয়েব সালেহীন জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ১ শ ৬০ মেট্রিক টন অবতরণকৃত মাছ হতে ৩৫ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হতে পারে। প্রথম দিন হওয়ায় মাছ আহরণ বেশি হওয়ায় অবতরণও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাত দশটা পর্যন্ত অবতরণ করা লাগতে পারে।